সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৩

ওজন নিয়ন্ত্রণ করার কিছু টিপস

ওজনাধিক্য বা স্থূলতা শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। শরীরের ওজন যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তখন তা ওজনাধিক্য নামে পরিচিত। আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না শরীরের ওজন কেন বা কিভাবে বাড়ছে। এজন্য আসলে আমাদের নগরকেন্দ্রিক লাইফস্টাইল দায়ী। এছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, বংশগত কারণেও ওজন বেড়ে থাকে। ওজন বৃদ্ধি যে কারণেই হোক না কেন অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও রোগের জন্ম দেয়। ওজনাধিক্যের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হূদরোগ, কিডনি সমস্যা, বাত, জয়েন্টে পেইন ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। সম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সাথেও ওজনাধিক্যের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া বাড়তি ওজনের জন্য অনেক সময় সামাজিকভাবেও হেনস্তা হতে হয়। এটা ভূক্তভোগী মাত্রই জানেন।

এই জটিলতাগুলো কমানোর জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন। ব্যক্তির যদি একান্ত আগ্রহ থাকে তবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সহজ হবে। আর মোটিভেশনের কাজটি করতে পারেন পরিবারের সদস্য, বন্ধু, আত্মীয় সকলেই।

এবার আসা যাক পথ্যের ব্যাপারে। পথ্য নির্বাচনের আগে আপনাকে আপনার দৈনিক ক্যালরী চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর খাদ্য তালিকায় ক্যালরীবহুল খাদ্য কমিয়ে কম ক্যালরীযুক্ত খাদ্যদ্রব্য যোগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরী দেহে মেদরূপে জমা হয়। এক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্যকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করতে হবে।

* খেতে বাধা নেই: সবধরণের শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগীর মাংস, দুধ, কুসুমছাড়া ডিম, দই, ভূনা ডাল, ইত্যাদি।
* পরিমিত পরিমাণে গ্রহণীয় খাদ্য: ভাত, রুটি, পাউরুটি, গরু ও খাসির মাংস (চর্বি ছাড়া) কলিজা, মগজ, বাদাম ইত্যাদি।
* বর্জনীয় খাদ্য: মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার, চর্বি, মাখন, ঘি, পনির, তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, চকলেট আইসক্রিম ইত্যাদি।
খাদ্য নিয়ন্ত্রণের সাথে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক পরিশ্রম। ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে দৈনিক কমপক্ষে ১ ঘন্টা হাটতে হবে। আর একবার ওজন নিয়ন্ত্রণে এলে চেষ্টা করতে হবে যাতে পুনরায় বেড়ে নায়।

1 টি মন্তব্য: