বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

জেনে নিন কীভাবে ভুঁড়ি কমাবেন

কীভাবে কমবে ভুঁড়ি :
ভুঁড়ি কমাতে ডায়েটিং ডায়েটিং। একেবারে হালফ্যাশনের শব্দ। বঙ্গ তথা ভারতীয় ললনারা বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর এটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে কিশোরী-তরুণীদের মধ্যে। তাদের ধারণা, ডায়েটিং মানে প্রায় না খেয়ে হাড় জিরজিরে হওয়া। অথচ ডায়েটিং হলো একটি বিজ্ঞানসমমত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যার মূল কথা এমন পরিমাণে খাওয়া যাতে শরীরের ঠিকঠাক পুষ্টি হবে অথচ মেদবৃদ্ধি হবে না, শরীরটা বেশ ছিপছিপে-ঝরঝরে লাগবে। আমরা যাই- খাই না কেন, ঘুরেফিরে তাতে ৬টি খাদ্য উপাদান থাকে। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো থেকেই দেহ পায় তার চালিকাশক্তি, যার একক হলো ক্যালরি। প্রতিদিন কার কতটা শক্তি বা ক্যালরি প্রয়োজন, তা নির্ভর করে ব্যক্তির ওজন, উচ্চতা, গঠন, পরিশ্রমের ধরনসহ নানা ফ্যাক্টরের ওপর। ক্যালরি গ্রহণ বেশি হলে চর্বি জমতে থাকে সারা দেহে। তবে তলপেট বা ভুঁড়ির দিকেই নজরটা পড়ে আগে।

ডায়েটিং করতে হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য প্রয়োজন। তিনিই পরীক্ষা করে বলে দেবেন দিনপ্রতি কত ক্যালরি শক্তি আপনার দরকার এবং তা পেতে কোন কোন খাদ্য কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত। তবু এ ব্যাপারে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকা ভালো। মাঝারি মানের পরিশ্রম করেন এমন একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন কমবেশি ২৪০০ ক্যালরি এবং পূর্ণবয়স্কা মহিলার ১৯০০ ক্যালরি প্রয়োজন। কায়িক পরিম্রম বেশি করলে এর সঙ্গে ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালরি যোগ করতে হবে, পরিশ্রম কম করলে ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালরি বাদ দিতে হবে। তবে ভুঁড়ি কমাতে ডায়েটিং করলে ১৪০০ থেকে ১৬০০ ক্যালরি গ্রহণ করলেই যথেষ্ট।

উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন- ঘি, মাখন, পনির, তেল, গুড়, চিনেবাদাম, রেড মিট, ইলিশ, চিংড়ি, চকোলেট, আইসক্রিম, চিপস, লজেন্স, কাজুবাদাম, কিসমিস, মিষ্টি, জ্যাম, জেলি, কেক, আলু ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় কম রাখবেন। বরং খাদ্যতালিকায় রাখুন, অল্প ভাত, আটার রুটি, ছোট মাছ, মুরগির মাংস, দুধ ছাড়া চা-কফি, টক দই, মৌসুমী ফল, প্রচুর শাকসবজি ও তরিতরকারি। একবারে না খেয়ে অল্প করে বারে বারে খাবেন। দুম করে উপোস দিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টায় কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্য কমিয়ে ফেলে বাড়ান প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ খাবার।

ভুঁড়ি কমাতে রাতের খাওয়া খুব অল্প পরিমাণে রাত ৯টার মধ্যে সেরে ফেলুন। শোয়ার সময় এক গ্লাস ফলের রস খেতে পারেন, যদি অবশ্য খিদে পায়। ব্রেকফাস্টটা করবেন হেভি, দুপুরের লঞ্চটা হালকা, টিফিন করবেন মুড়ি, চিঁড়ে, খই এবং শসা দিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন