গাবদা-গোবদা মুখাবয়ব এবং মেদসর্বস্ব দেহ
নিঃসন্দেহে কদাকার। ধুমসি দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়
না। তাই মেদ কমানোর জন্য নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন।
১. ডায়েট কন্ট্রোলঃ সৌন্দর্যচর্চার
প্রাথমিক সোপান হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। ডায়েট কন্ট্রোল না করে স্থূলতা
কমানোর অভিপ্রায় দুরাশা মাত্র। একজন স্থূল মেয়ে প্রতিদিন কতটা খাবার গ্রহণ
করবে, তা নির্ভর করে তার বয়স, পেশা এবং দৈহিক কাঠামোর ওপর। প্রতিদিন
স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।
প্রতিদিন কোনো কাজ না করে চুপচাপ বসে থাকলে একজন মানুষের ১৫০০ ক্যালরির
মতো খাদ্য দরকার। তাই স্থূলদেহের মেয়েরা যদি প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১২০০
ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করে তবে দেহের ওজন কমানো যায়। ক্যালরি কম গ্রহণ করলে
দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
আমিষজাতীয় খাবার খুব তাড়াতাড়ি মানুষের রসনা নিবৃত্তি করে। প্রাপ্তবয়স্ক
একজন স্থূল দেহের মেয়ের খাদ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন
বা আমিষজাতীয় খাবার থাকা উচিত। শর্করাজাতীয় খাবার যেমন-ভাত, রুটি, গম,
ভুট্টা ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ১০০০ ক্যালরি খাবারের জন্য ১০০
গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবারই যথেষ্ট। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করে, তাদের খাবারে
থাকবে প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল।
১৯৮১ সালে জুডি ম্যাজেলের বিভারলি হিলস ডায়েট আমেরিকায় খুব জনপ্রিয় ছিল। এই পদ্ধতিতে প্রথম ১০ দিন শুধু ফল, ১১ দিন মাখন এবং ভুট্টা। এর পরের ১০ দিন শুধু মাছ বা মাংস খেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বলা হয়েছে বেভারলি হিলস ডায়েট দেহের জন্য ক্ষতিকারক। ইদানীং নাথন প্রিটিকেনের ‘প্রিটিকিন রিগ্রেশন ডায়েট’ স্থূলতা কমাতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেড, কোলেস্টেরল এবং চিনির পরিমাণ অত্যন্ত কম। ১০০০ ক্যালরির এই ডায়েটে যে শুধু মেদ কমানো যায় তাই নয়, এ দিয়ে উচ্চরক্তচাপ, বহুমূত্র পিত্তথলির রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।
ডা. বরেন চক্রবর্তী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন